About Me
আল ওসীয়্যত পুস্তিকায় জামাতকে সান্তনা দিয়ে হযরত মসীহ মওউদ (আ.) বলেন,
“ খোদা তা’লার এটি চিরন্তন রীতি আর পৃথিবীতে মানব সৃষ্টির সূচনা থেকে সকল যুগে তিনি এ রীতিই প্রকাশ করে এসেছেন; তাহলো, তিনি তাঁর নবী-রাসূলদের সাহায্য করে থাকেন এবং তাঁদের বিজয় দান করেন। এ সম্বন্ধে তিনি বলেন, كَتَبَ اللَّهُ لَأَغْلِبَنَّ أَنَا وَرُسُلِي (সূরা মুজাদালা:২২) বিজয়ের অর্থ হলো, খোদার কথা জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং এর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারো টিকতে না পারা - আর এটিই রাসূল ও নবীদের ঐকান্তিক বাসনা হয়ে থাকে। তদনুযায়ী খোদা তা’লা প্রবল নিদর্শনাবলীর মাধ্যমে তাঁদের সত্যতা প্রকাশ করেন এবং যে সাধুতা তাঁরা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তিনি এর বীজ তাঁদের হাতেই বপন করে নেন কিন্তু তিনি তাঁদের হাতে এর পূর্ণতা দান করেন না। বরং এমন এক সময় তাঁদেরকে মৃত্যু দেন যাতে বাহ্যত: এক প্রকার ব্যর্থতার আশঙ্কা অন্তর্নিহিত থাকে। তিনি বিরুদ্ধবাদীদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ, উপহাস ও কটাক্ষ করার সুযোগ দেন। আর তাদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ প্রদর্শনের পালা শেষে, তিনি আপন শক্তির দ্বিতীয় রূপ প্রকাশ করেন এবং এমন সব উপকরণ সৃষ্টি করেন যা দ্বারা অসম্পূর্ণ রয়ে যাওয়া উদ্দেশ্যাবলী পূর্ণতা লাভ করে।
মোটকথা খোদা তা’লা দু'প্রকার শক্তি ও মহিমা প্রকাশ করেন। (এক) প্রথমত: স্বয়ং নবীদের মাধ্যমে নিজ শক্তির এক স্বরূপ প্রদর্শন করেন। (দুই) দ্বিতীয়ত: সে সময়, নবীর মৃত্যুর পর যখন বিপদাবলীর সম্মুখীন হতে হয় তখন শত্রুপক্ষ মাথাচাড়া দেয় আর মনে করে, এবার এর ব্যর্থ হতে চলেছে; আর এ জামাত এখন বিলুপ্তি হয়ে যাবে বলে তারা নিশ্চিত হয়ে যায়; জামাতের লোকজনও দ্বিধা- দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়, এমনকি তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় আর অনেক দুর্ভাগা ধর্মত্যাগের পথ বেছে নেয়। খোদা তা’লা তখন দ্বিতীয়বার আপন মহাশক্তি প্রকাশ করেন এবং পতনোন্মুখ জামাতকে রক্ষা করেন। অতএব যারা শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধারন করে, তারা খোদা তা’লার এই নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে। ...
(আল ওসীয়্যত পুস্তিকা, রূহানী খাজায়েন ২০তম খন্ড, পৃ:৩০৫-৩০৬)
মোটকথা খোদা তা’লা দু'প্রকার শক্তি ও মহিমা প্রকাশ করেন। (এক) প্রথমত: স্বয়ং নবীদের মাধ্যমে নিজ শক্তির এক স্বরূপ প্রদর্শন করেন। (দুই) দ্বিতীয়ত: সে সময়, নবীর মৃত্যুর পর যখন বিপদাবলীর সম্মুখীন হতে হয় তখন শত্রুপক্ষ মাথাচাড়া দেয় আর মনে করে, এবার এর ব্যর্থ হতে চলেছে; আর এ জামাত এখন বিলুপ্তি হয়ে যাবে বলে তারা নিশ্চিত হয়ে যায়; জামাতের লোকজনও দ্বিধা- দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়, এমনকি তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় আর অনেক দুর্ভাগা ধর্মত্যাগের পথ বেছে নেয়। খোদা তা’লা তখন দ্বিতীয়বার আপন মহাশক্তি প্রকাশ করেন এবং পতনোন্মুখ জামাতকে রক্ষা করেন। অতএব যারা শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধারন করে, তারা খোদা তা’লার এই নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে। ...
(আল ওসীয়্যত পুস্তিকা, রূহানী খাজায়েন ২০তম খন্ড, পৃ:৩০৫-৩০৬)
No comments